বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী বাইপাস সড়কের দু’পাশের পাহাড় রক্ষায় দিনব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। আজ (শনিবার) বাইপাস সড়কের দু’পাশের অন্তত ১০টি পাহাড় কাটার স্পটে এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় পাহাড় কাটায় জড়িত দুই জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একটি অবৈধ স্থাপনা আংশিক উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া পাহাড় কাটার বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসব ঘটনায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক সাইফুল আশ্রাব বলেন, ‘সাগর-পাহাড় ঘেরা প্রকৃতির অপূর্ব পর্যটন শহর কক্সবাজার। আর কিছু সংখ্যক অপরাধী এই শহরের পাহাড় নিধন করে সৌর্ন্দয্য যেমন নষ্ট করছে তেমনি পরিবেশের ভারসাম্যও ধ্বংস করছে। হাতে গোনা কিছু সংখ্যক এই অপরাধীকে কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারের পাহাড় রক্ষায় এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার কলাতলী বাইপাস সড়কের দুই পাশের ১০টি স্পটে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে বাইপাস সড়কের উত্তর পাশের উত্তরণ হাউজিং এর পশ্চিমপাশের কাটাপাহাড় এলাকায় বিশাল পাহাড় কাটার একটি স্পট থেকে মৃত আবু ছৈয়দের পুত্র আছাব উদ্দিন (৪০) ও মৃত আবদুস সোবহানের পুত্র কবির আহমদ (৫৫) নামের দুই জনকে আটক করা হয়। এসময় মালিক ও অন্যান্য শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমান আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার দন্ড দেন। একই সময়ে সড়কের উত্তর পাশে উত্তর আদর্শগ্রাম এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে বিশাল আকৃতির পাহাড় কেটে দালান নির্মাণ করছিলেন ওই এলাকার মৃত শহিদ আলীর পুত্র রবিউল হাসান (৩০)। অভিযানে রবিউল ও শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। পরে পাহাড় কাটার ও নির্মাণ সামগ্রী জব্দ করা হয়। একই সাথে নির্মাণাধীন স্থাপনার একাংশ উচ্ছেদ করা হয়। বাইপাস সড়কের দক্ষিণ পাশে চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকা ও হাইওয়ে রেষ্ট হাউসের দক্ষিণে ৮টি স্পটে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে ওই এলাকার মোহাম্মদ ছাবের ড্রাইভার (৬০), মো. ছাবেরের পুত্র মিজান (২৮), জাফরের পুত্র মো. ইউনুছ (২৭), বেলাল উদ্দিন প্রকাশ বেলাল মুন্সির পুত্র জাহাঙ্গীর আলম (৪০), নুরুল হাকিম (৩৭), মধ্যম কলাতলীর মৃত মীর কাসেমের পুত্র আবদুল খালেক (৩২), হাশেম ড্রাইভার, কপিল উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ৮টি স্পটে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ করছিল। অভিযানের সময় এসব ব্যক্তি এবং তাদের নিয়োগকৃত শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। তবে অভিযানে বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।